৫০ বছর পর ফের চাঁদে যাচ্ছে মানুষ!

নাসা জানিয়েছে, তারা ফেব্রুয়ারিতেই চারজন মহাকাশচারীকে ১০ দিনের জন্য চাঁদের কক্ষপথে পাঠাতে চায়। আগে সংস্থাটি বলেছিল, মিশন এপ্রিলের মধ্যে হবে, তবে এখন আগেই পাঠানোর চেষ্টা করছে।
নাসা জানিয়েছে, তারা ফেব্রুয়ারিতেই চারজন মহাকাশচারীকে ১০ দিনের জন্য চাঁদের কক্ষপথে পাঠাতে চায়। আগে সংস্থাটি বলেছিল, মিশন এপ্রিলের মধ্যে হবে, তবে এখন আগেই পাঠানোর চেষ্টা করছে। এটি হবে ৫০ বছর পর প্রথম মানববাহী চন্দ্র মিশন।
আর্টেমিস-২ নামের এই মিশনে চার মহাকাশচারীকে পাঠানো হবে শুধু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য।
আর্টেমিস কর্মসূচির লক্ষ্য হলো মহাকাশচারীদের চাঁদে অবতরণ করানো এবং সেখানে দীর্ঘমেয়াদি উপস্থিতি স্থাপন করা।
কারা থাকছেন এই মিশনে?
-
রিড ওয়াইজম্যান (কমান্ডার)
-
ভিক্টর গ্লোভার (পাইলট)
-
ক্রিস্টিনা কচ
-
জেরেমি হ্যানসেন (কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি থেকে)
তারা চাঁদে নামবেন না, তবে ১৯৭২ সালের অ্যাপোলো ১৭-এর পর প্রথমবার পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথ ছাড়িয়ে যাবেন।
মিশনের ধাপ
-
আর্টেমিস-২ মহাকাশচারীদের নিয়ে যাবে স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (SLS) রকেট।
-
তারা থাকবে ওরিয়ন ক্যাপসুলে, যেটি তাদের যাত্রার ঘর হবে।
-
উৎক্ষেপণের ২ মিনিট পরই দুটি বুস্টার পড়ে যাবে।
-
৮ মিনিট পর কোর স্টেজ আলাদা হবে এবং সোলার প্যানেল খুলে শক্তি যোগাবে।
-
সিস্টেম চেক শেষে ওরিয়ন চাঁদের পথে চার দিনের যাত্রা শুরু করবে, পৃথিবী থেকে ২,৩০,০০০ মাইল দূরে।
-
মহাকাশচারীরা “স্পেস ব্যালে” নামের মহড়া করবেন—ওরিয়ন কিভাবে অন্য যানবাহনের সঙ্গে যুক্ত হবে, তা পরীক্ষা করার জন্য।
-
পথে তাদের শরীরের ওপর মহাকাশের প্রভাব বুঝতে রক্ত থেকে টিস্যু নমুনা নেওয়া হবে।
মহাকাশযান চাঁদ ঘুরে পৃথিবীতে ফেরার সময় বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের ঝুঁকিপূর্ণ ধাপ পার করবে। শেষে ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে সাগরে ভেসে নামবে।
এই মিশনের সফলতা নির্ভর করবে ভবিষ্যতের আর্টেমিস-৩ মিশন কত দ্রুত শুরু হবে তার ওপর—যেখানে সত্যিই মানুষ চাঁদে নামবে। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ২০২৭ সালের আগে তা সম্ভব নয়, কারণ এর জন্য স্পেসএক্স স্টারশিপ এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নয়।
সূত্র: বিবিসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: