লিথুয়ানিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে নেদারল্যান্ডস
সোমবার রাতে বাছাইপর্বের ম্যাচে ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে লিথুয়ানিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট কাটল নেদারল্যান্ডস।
ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় প্রথমার্ধে টিজানি রেইন্ডার্স ডাচদের এগিয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে চার মিনিটের মধ্যে আসে তিন গোল। একে একে ব্যবধান বাড়ান কোডি গাকপো, জাভি সিমন্স ও ডোনিয়েল মালেন।
অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপ বাছাই শেষ করল নেদারল্যান্ডস। আট ম্যাচে ছয় জয় ও দুই ড্রয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে 'জি' গ্রুপের শীর্ষে তারা। দলটি ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাবে সব মিলিয়ে ১২তম বারের মতো।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে দুর্ভাগা দলের তালিকা করলে নিশ্চিতভাবেই সবার উপরে থাকবে নেদারল্যান্ডস। এখন পর্যন্ত তিনবার ফাইনাল খেললেও শিরোপা জেতা হয়নি তাদের। রানার্সআপ হওয়ার তীব্র বেদনায় তাদেরকে পুড়তে হয়েছে ১৯৭৪, ১৯৭৮ ও ১৯৯০ সালের আসরে।
এই ম্যাচে ড্র হলেই চলত ডাচদের। তবে সাবধানী ফুটবল খেলার পথ বেছে না নিয়ে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করে তারা। সেই ধারায় ১৬তম মিনিটে লিড পেয়ে যায় দলটি। ডি-বক্সে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের পাস ধরে জাল খুঁজে নেন রেইন্ডার্স। ৩০তম মিনিটে গোলপোস্ট বাধা হয়ে না দাঁড়ালে আরেকটি গোল পেতেন তিনি।
বিরতির পর লিথুয়ানিয়াকে একদম পাত্তা দেয়নি কোমানের দল। ৫৮তম মিনিটে স্পট-কিক থেকে লক্ষ্যভেদ করেন গাকপো। ডি-বক্সে সফরকারীদের একজন হ্যান্ডবল করায় রেফারি বাজিয়েছিলেন পেনাল্টির বাঁশি।
দুই মিনিটের মধ্যে ব্যবধান বাড়ান সিমন্স। গাকপোর কাছ থেকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষের একজনকে কাটিয়ে জোরাল শটে জালে পাঠান তিনি। ৬২তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে মালেনের অসাধারণ গোলে বড় জয় নিশ্চিত হয় নেদারল্যান্ডসের। মাঝমাঠে রেইন্ডার্সের পাস ধরে ছুটে ডি-বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: