newsbhuban25@gmail.com মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ঘুরে আসুন মালয়েশিয়া

নিউজ ভুবন ডেস্ক প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:১১ পিএম

মালয়েশিয়ার অন্যতম সুন্দর শহর কুয়ালালামপুর

মালয়েশিয়ায় মূলত দুই ধরনের ঋতু গরম ও শুষ্ক এবং গরম ও বৃষ্টি। তবে শুষ্ক মানে পুরো শুকনো নয়। দেশজুড়েই সারাবছর আর্দ্রতা থাকে, কোনো না কোনো সময় বৃষ্টি হয়ই।

তবুও মালয়েশিয়ায় পর্যটকদের আগমন কখনো বন্ধ হয় না। স্কুল ছুটির সময় দেশ-বিদেশে থেকে পরিবার ভ্রমণে বেশি ভিড় দেখা যায়। তাই পুরোপুরি অফ সিজন বলতে কিছু নেই।

অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত পূর্ব উপকূলে ভারী বৃষ্টি হয়। তাই এই সময় শুষ্ক থাকে উপদ্বীপের লাংকাভি, পেনাং ইত্যাদি। সমুদ্রসৈকত ঘোরা এবং জর্জটাউনে হাঁটাহাঁটি সবই দারুণ উপভোগ্য। তবে বোর্নিওতে এ সময়ই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি। এই মৌসুমে ভিড়ও বেশি, হোটেলের দামও কিছুটা বাড়ে। এরই মধ্যে চাইনিজ নিউ ইয়ার আর বিখ্যাত হিন্দু উৎসব থাইপুসাম পালিত হয়। যেখানে রঙিন শোভাযাত্রা এবং স্থানীয় অনুষ্ঠানে পুরো দেশ মাতোয়ারা থাকে। বোর্নিওর সারাওয়াকে এই সময় হোটেলের দাম কম থাকলেও সমস্যা হচ্ছে পাহাড়ি রাস্তাগুলো কাদা হয়ে যায়।

বসন্তের এই সময়টায় মালয়েশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি কম থাকে। আবহাওয়া গরম হলেও প্রচণ্ড নয়। সৈকত আর ন্যাশনাল পার্ক ঘোরার দারুণ সময়। এপ্রিল মাস সাবাহ ভ্রমণের জন্য অসাধারণ। স্কুবা ডাইভিং, মাউন্ট কিনাবালু ট্রেকিং সবকিছু এই সময়ে বেশ জমে উঠে। মে মাসে সাবাহর হারভেস্ট ফেস্টিভালও দেখার মতো। তবে অঞ্চলভেদে ব্যতিক্রম আছে, এপ্রিলে আবার কুয়ালালামপুরে বেশ বৃষ্টি হয়। তাই এই সময় শহরে বিভিন্ন স্বাদের খাবারের অভিজ্ঞতা নিয়ে সময়টা পাড় করতে পারেন।

এই সময়ে কুয়ালালামপুর ঘুরে সবচেয়ে আনন্দ পাবেন। অবশ্যই গরম থাকে, তবু শহর ঘুরে দেখা, শপিং, ক্যাফেতে খাওয়া সব মিলিয়ে এটি দারুণ সময় কাটবে। এই সময় উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলেও বৃষ্টি কম। ডাইভিংয়ের জন্য পাওয়া যায় চকচকে স্বচ্ছ পানি। তাই টিওমান বা পারহেন্তিয়ান আইল্যান্ডে পর্যটক ভিড় বাড়ে। জুনে বোর্নিওতে অনুষ্ঠিত হয় গাওয়াই উৎসব এবং পেনাংয়ে ড্রাগন বোট ফেস্টিভ্যাল। এছাড়াও জর্জটাউন ফেস্টিভ্যাল ও কুচিংয়ের রেইনফরেস্ট ওয়ার্ল্ড মিউজিক ফেস্টিভ্যাল এই মৌসুমেই। আগস্টের দিকে আবার ধীরে ধীরে মেঘলা দিন বাড়ে। মাসের শেষে পাওয়া যায় মালয়েশিয়ার জাতীয় উৎসব হারি মেরদেকা।

এই সময় উপদ্বীপে বর্ষা বাড়ে। তবে মেলাকায় বৃষ্টি তুলনামূলক কম হয়। তাই ইতিহাসে ঘেরা এই শহর আবিষ্কারের জন্য এই সময়টা একেবারে উপযুক্ত। নভেম্বরে শুরু হওয়া উত্তর-পূর্ব মৌসুম ক্যামেরুন হাইল্যান্ডসে প্রকৃতিকে আরও সতেজ করে তোলে। চা-বাগান, পাহাড়ি ফুল আর ঠান্ডা হাওয়া ভ্রমণকারীদের বেশ টানে। অন্য এলাকায় এ সময় হোটেলের দাম কমে। বৃষ্টি বেশি থাকায় ইনডোর অ্যাক্টিভিটি শপিং মল, মিউজিয়াম, থিম পার্ক সবই উপভোগ করা যায়।

মালেয়শিয়ার ভ্রমণ শিল্প দিন দিন আরো উন্নত হচ্ছে। পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তার কমতি না থাকলেও প্রতিনিয়ত ভ্রমণ শিল্প নিয়ে ভাবছে দেশটির সরকার। এমনকি বিভিন্ন বড় বড় ভ্রমণ ইভেন্টও হচ্ছে দেশটিতে। যেখানে ভ্রমণ সংশ্লিষ্টরা যোগ দিয়ে নতুন নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা বলছে। তাই মালয়েশিয়ায় পর্যটকদের জন্য সারা বছরই চাঙ্গা। তাই সত্যিকার অর্থে এখানে অফ সিজন বলতে কিছু নেই।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


ঘুরে আসুন মালয়েশিয়া

নিউজ ভুবন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:১১ পিএম

মালয়েশিয়ার অন্যতম সুন্দর শহর কুয়ালালামপুর

মালয়েশিয়ায় মূলত দুই ধরনের ঋতু গরম ও শুষ্ক এবং গরম ও বৃষ্টি। তবে শুষ্ক মানে পুরো শুকনো নয়। দেশজুড়েই সারাবছর আর্দ্রতা থাকে, কোনো না কোনো সময় বৃষ্টি হয়ই।

তবুও মালয়েশিয়ায় পর্যটকদের আগমন কখনো বন্ধ হয় না। স্কুল ছুটির সময় দেশ-বিদেশে থেকে পরিবার ভ্রমণে বেশি ভিড় দেখা যায়। তাই পুরোপুরি অফ সিজন বলতে কিছু নেই।

অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত পূর্ব উপকূলে ভারী বৃষ্টি হয়। তাই এই সময় শুষ্ক থাকে উপদ্বীপের লাংকাভি, পেনাং ইত্যাদি। সমুদ্রসৈকত ঘোরা এবং জর্জটাউনে হাঁটাহাঁটি সবই দারুণ উপভোগ্য। তবে বোর্নিওতে এ সময়ই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি। এই মৌসুমে ভিড়ও বেশি, হোটেলের দামও কিছুটা বাড়ে। এরই মধ্যে চাইনিজ নিউ ইয়ার আর বিখ্যাত হিন্দু উৎসব থাইপুসাম পালিত হয়। যেখানে রঙিন শোভাযাত্রা এবং স্থানীয় অনুষ্ঠানে পুরো দেশ মাতোয়ারা থাকে। বোর্নিওর সারাওয়াকে এই সময় হোটেলের দাম কম থাকলেও সমস্যা হচ্ছে পাহাড়ি রাস্তাগুলো কাদা হয়ে যায়।

বসন্তের এই সময়টায় মালয়েশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি কম থাকে। আবহাওয়া গরম হলেও প্রচণ্ড নয়। সৈকত আর ন্যাশনাল পার্ক ঘোরার দারুণ সময়। এপ্রিল মাস সাবাহ ভ্রমণের জন্য অসাধারণ। স্কুবা ডাইভিং, মাউন্ট কিনাবালু ট্রেকিং সবকিছু এই সময়ে বেশ জমে উঠে। মে মাসে সাবাহর হারভেস্ট ফেস্টিভালও দেখার মতো। তবে অঞ্চলভেদে ব্যতিক্রম আছে, এপ্রিলে আবার কুয়ালালামপুরে বেশ বৃষ্টি হয়। তাই এই সময় শহরে বিভিন্ন স্বাদের খাবারের অভিজ্ঞতা নিয়ে সময়টা পাড় করতে পারেন।

এই সময়ে কুয়ালালামপুর ঘুরে সবচেয়ে আনন্দ পাবেন। অবশ্যই গরম থাকে, তবু শহর ঘুরে দেখা, শপিং, ক্যাফেতে খাওয়া সব মিলিয়ে এটি দারুণ সময় কাটবে। এই সময় উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলেও বৃষ্টি কম। ডাইভিংয়ের জন্য পাওয়া যায় চকচকে স্বচ্ছ পানি। তাই টিওমান বা পারহেন্তিয়ান আইল্যান্ডে পর্যটক ভিড় বাড়ে। জুনে বোর্নিওতে অনুষ্ঠিত হয় গাওয়াই উৎসব এবং পেনাংয়ে ড্রাগন বোট ফেস্টিভ্যাল। এছাড়াও জর্জটাউন ফেস্টিভ্যাল ও কুচিংয়ের রেইনফরেস্ট ওয়ার্ল্ড মিউজিক ফেস্টিভ্যাল এই মৌসুমেই। আগস্টের দিকে আবার ধীরে ধীরে মেঘলা দিন বাড়ে। মাসের শেষে পাওয়া যায় মালয়েশিয়ার জাতীয় উৎসব হারি মেরদেকা।

এই সময় উপদ্বীপে বর্ষা বাড়ে। তবে মেলাকায় বৃষ্টি তুলনামূলক কম হয়। তাই ইতিহাসে ঘেরা এই শহর আবিষ্কারের জন্য এই সময়টা একেবারে উপযুক্ত। নভেম্বরে শুরু হওয়া উত্তর-পূর্ব মৌসুম ক্যামেরুন হাইল্যান্ডসে প্রকৃতিকে আরও সতেজ করে তোলে। চা-বাগান, পাহাড়ি ফুল আর ঠান্ডা হাওয়া ভ্রমণকারীদের বেশ টানে। অন্য এলাকায় এ সময় হোটেলের দাম কমে। বৃষ্টি বেশি থাকায় ইনডোর অ্যাক্টিভিটি শপিং মল, মিউজিয়াম, থিম পার্ক সবই উপভোগ করা যায়।

মালেয়শিয়ার ভ্রমণ শিল্প দিন দিন আরো উন্নত হচ্ছে। পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তার কমতি না থাকলেও প্রতিনিয়ত ভ্রমণ শিল্প নিয়ে ভাবছে দেশটির সরকার। এমনকি বিভিন্ন বড় বড় ভ্রমণ ইভেন্টও হচ্ছে দেশটিতে। যেখানে ভ্রমণ সংশ্লিষ্টরা যোগ দিয়ে নতুন নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা বলছে। তাই মালয়েশিয়ায় পর্যটকদের জন্য সারা বছরই চাঙ্গা। তাই সত্যিকার অর্থে এখানে অফ সিজন বলতে কিছু নেই।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর